১. ফলস সিলিং (False Ceiling):
ফলস সিলিং হল সবচেয়ে জনপ্রিয় জিপসাম ডেকোরেশন পদ্ধতি। এতে জিপসাম প্লাস্টার ব্যবহার করে ছাদের নীচে একটি অতিরিক্ত স্তর তৈরি করা হয়, যা দেখতে খুব সুন্দর লাগে এবং ঘরের উচ্চতা বাড়িয়ে তোলে। এতে আলো লুকিয়ে রাখার জন্য LED লাইট ফিট করা হয়, যা ঘরে একটি নরম এবং মৃদু আলোর পরিবেশ সৃষ্টি করে।২. দেয়ালের ডিজাইন (Wall Paneling):
দেয়ালের ডিজাইন করার জন্যও জিপসাম ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি দেয়ালে বিভিন্ন আকার ও নকশা তৈরি করতে পারে, যা ঘরের ইন্টেরিয়রে বৈচিত্র্য আনতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, টিভি ব্যাকগ্রাউন্ড বা শো-পিস ওয়ালের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।৩. কর্নিস এবং বর্ডার (Cornices and Borders):
জিপসাম দিয়ে কর্নিস বা বর্ডার তৈরি করা যায়, যা ঘরের কোণ এবং ছাদের সংযোগস্থলকে আরও সুন্দর করে তোলে। এটি ক্লাসিক্যাল বা ট্রাডিশনাল ডিজাইনের জন্য বেশ জনপ্রিয়।৪. কলাম এবং পিলার (Columns and Pillars):
জিপসাম দিয়ে কলাম বা পিলার তৈরি করা যায়, যা ঘরের ভিতরের অংশে একটি রুচিশীল এবং আভিজাত্যপূর্ণ লুক দেয়। এটি ঘরের স্থাপত্যে শৈল্পিক ছোঁয়া যোগ করে।৫. 3D ডিজাইন এবং আর্টওয়ার্ক (3D Design and Artwork):
জিপসাম দিয়ে দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের 3D ডিজাইন এবং আর্টওয়ার্ক তৈরি করা সম্ভব, যা ঘরকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। বিশেষ করে লিভিং রুম বা বেডরুমে এ ধরনের ডিজাইন খুবই মানানসই।৬. সাউন্ডপ্রুফিং (Soundproofing):
জিপসাম বোর্ড সাউন্ডপ্রুফিং এর কাজেও ব্যবহার করা হয়। ঘরের দেয়াল বা সিলিংয়ে সাউন্ডপ্রুফিং করতে চাইলে জিপসাম বোর্ড খুবই কার্যকরী।৭. ক্যাবিনেট বা শেলফের ডিজাইন:
বিভিন্ন শেলফ বা ক্যাবিনেটের নকশা তৈরিতেও জিপসাম ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ঘরে অর্গানাইজড এবং স্টাইলিশ লুক আনা সম্ভব।জিপসাম ডেকোরেশনের সুবিধাসমূহ:
সহজ স্থাপন প্রক্রিয়া
জিপসাম সহজেই ইন্সটল করা যায় এবং সময় সাশ্রয়ী।
দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই
জিপসাম প্লাস্টার টেকসই এবং অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
আগুন প্রতিরোধক:
জিপসাম বোর্ড আগুন প্রতিরোধী এবং নিরাপদ।